

‘পলাতক’: দূরবিনের নৈকট্য
‘ছবিটির গান, সংলাপ ও অভিনয়ের ভঙ্গি প্রায় পুরোটাই দর্শক-অভিমুখী। এক ধরনের আটপৌরে ফ্যামিলিয়ারিটি ছবিটির ছত্রে-ছত্রে সচেতনভাবে বুনে দেওয়া হয়েছে। সেই পরিচয়ের স্বাদ দর্শককে আহ্বান করে।’ ‘পলাতক’-এর স্বকীয়তা।
‘ছবিটির গান, সংলাপ ও অভিনয়ের ভঙ্গি প্রায় পুরোটাই দর্শক-অভিমুখী। এক ধরনের আটপৌরে ফ্যামিলিয়ারিটি ছবিটির ছত্রে-ছত্রে সচেতনভাবে বুনে দেওয়া হয়েছে। সেই পরিচয়ের স্বাদ দর্শককে আহ্বান করে।’ ‘পলাতক’-এর স্বকীয়তা।
জুলাই মাসের খামখেয়ালি আকাশের সঙ্গে যেন সুর মিলিয়ে শহরে চলছে ভিজুয়াল আর্টের একটা ক্যালেইডোস্কোপ । দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশের আলোকচিত্র-শিল্পী, সাংবাদিক, ও সমাজকর্মী শহিদুল আলমের মনকাড়া মানবজীবন গাথা; রয়েছে সোমনাথ হোড়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ রেট্রোস্পেক্টিভ; তাছাড়াও থাকছে গোন্ড জনজাতির বৃক্ষ পূজা করার আচার-অনুষ্ঠানের নিদর্শন স্বরূপ নানা রঙের অপরিসীম উচ্ছ্বাস। শিল্পে কলকাতা, জুলাই ২০২২।
‘মীরা মুখোপাধ্যায়ের কাজের অপূর্ব স্পর্শানুভূতি থেকে আন্দাজ করা যায় কী সাংঘাতিক শ্রমসাধ্য পদ্ধতিতে, কত যত্নে তা নির্মিত। অরুণ গাঙ্গুলির ছবি এবং কিউরেটরদের লেখায় শুধু যে কার্যধারার বিভিন্ন ধাপ সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে তাই নয়, শিল্পকর্মের শ্রমের বাস্তবতা, ঘাম-মাটি-ঘুঁটের গন্ধ, ঢালাইয়ের আগুনের তাপ আর বন্ধুত্বের উষ্ণতা উপলব্ধি করা যায়।’
‘ফোটোগ্রাফি-শিল্পের বিনোদনের চেনা সংজ্ঞাগুলো ধুলোয় লুটচ্ছে। কনটেন্ট ও স্টাইলের পাশাপাশি পলিটিক্স ও এস্থেটিক্স চলছে তার সমান্তরাল দৌড়ে। পশ্চিমে যা দেখার দেখে-বুঝে শহিদুলের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন। সে-সময়ের বাংলাদেশের পরিস্থিতি শিল্পীকে গদিমোড়া সোফায় নিশ্চিন্তে বসে থাকতে দেয়নি। মাথা থেকে শরীর যখন ক্রমাগত দগ্ধ হয়ে চলেছে, রোম্যান্স-আর্ট বিলাস কীভাবে অগ্রাধিকার পাবে? এই প্রদর্শনীতে তারই কর্ড প্রগ্রেশন।’
‘১৯২০-র হিলবিলি মিউজিক বা হঙ্কি-টঙ্ক থেকে পরে স্থায়িভাবে কান্ট্রি হয়ে যাওয়ার রাস্তায় প্রথম হিট রেকর্ড হিসেবে ধরা হয় জন কার্সনের ‘লিটল ওল্ড লগ কেবিন ইন দ্য লেন’কে। যে-নৈকট্যের কথা বলছিলাম, সাগর পেরিয়ে আমাদের নাইনটিজে বাংলা গানের ঝুঁটি ধরে ঘোরানো গৌতম-সুমনের কলকাতা এমনকি খোদ মফস্বল কিভাবে তাদের কলেজ-শুরুয়াতে কান্ট্রিকে কাছে টেনে নিল, তার জবরদস্ত উত্তর পেয়ে যাই হ্যাঙ্ক উইলিয়ামসের কথায়— ‘Folk music is sincere. There ain’t nothin’ phony about it.’
শুরু হল কলকাতা কোলাজ। প্রতি মাসে, শিল্প সম্পর্কিত নানা খবর নিয়ে এই কলাম থাকবে ডাকবাংলার পাতায়। কলকাতা ছাড়াও অন্যান্য জায়গার শিল্প-সমাচারও জায়গা করে নেবে এই পাতায়। জুন মাসে থাকছে প্রখ্যাত ভাস্কর মীরা মুখার্জি-র জন্ম শতবর্ষ উদযাপনে অরুণ গাঙ্গুলি-র অসামান্য ফটোগ্রাফি সংগ্রহ; গ্যাব্রিয়েল ব্যাসিলিকোর ইটালির ছবি; থাকছে ২০২২-এ গণেশ হালুই-এর মননে, তাঁর শব্দ-অন্বেষণে ‘স্ক্রোলস’, এবং স্বাধীন ভারতে প্রতিষ্ঠিতদের ও নবাগতদের কাজ নিয়ে দুটি প্রদর্শনী।
A montage of black-and-white images from Italy by legendary photographer Gabriele Basilico; a decades-long visual narrative of sculptor Meera Mukherjee’s life as she lived and worked among artisans; a peek into the mind of Ganesh Haloi today and two collective shows that offer masters and millennials: Kolkata Collage, our new monthly column offers you a bouquet of the city’s finest art spaces, starting this June.
‘স্বপনের ছোটবেলা কেটেছে বনগাঁতে, বহুদিন অবধি মাটির বাড়িতে। সেই মাটি পুড়িয়ে শক্ত ইটের বাড়িও এসেছে সময়ের নিয়ম ধরে। সেই সোঁদা মাঠ-ঘাট, গাছ-পাতালির মিতালি আজও আছে। মাঝবয়সের স্বপন এখন ঘর বেঁধেছেন আর এক গাঁয়ে। বীরভূমে। ফিরে পেয়েছেন ছেলেবেলার সেট। চলচ্চিত্র নির্মাণে বাধা থাকেনি। সেটি রয়ে গেছে মনের ভিতরে। দরকার পড়েনি অভিনেতার। স্মৃতির কথকতায় ছবিটা সাইলেন্ট হয়েও হয়নি।’
এ-বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ঈশান ঘোষের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি ‘ঝিল্লি’-কে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হয়। ছবির বিষয় ছিল কলকাতার ধাপা অঞ্চল ও সেখানকার মানুষজনের জীবন। সেই ছবি নিয়েই পরিচালকের সঙ্গে কথা বললেন পৃথ্বী বসু।
আজ থেকে একশো বছর আগে ভূমিষ্ঠ হওয়া ফ্র্যাজাইল শরীরের এই মানুষটির সৃষ্টি নিয়ে আর্ট দুনিয়া এই মুহূর্তে উত্তেজিত। অকশন হাউস, আর্ট গ্যালারি, বই প্রকাশ, ডকুমেন্টারি, কী না হচ্ছে। উনি রেখে গেছেন ওঁর জীবনভর সংগৃহীত, সৃষ্ট, অজস্র ক্ষত।’ শতবর্ষে সোমনাথ হোড় : ‘অর্থশীলা’, শান্তিনিকেতন; প্রদর্শনী চলবে ২০ মে, ২০২২ পর্যন্ত
গ্র্যামি-বিজয়ী ‘ভারতীয়’ শিল্পীরা তাঁদের পুরস্কার গ্রহণের ভাষণে ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে, দেশ-দর্শনে ত্যাগ-তিতিক্ষা-সহিষ্ণুতার কথা বললেন, কিন্তু সুকঠিন বাস্তবের কোনো প্রসঙ্গ তুললেন না। আর তাই প্রশ্নগুলো রয়েই গেল— এই অন্তর্ভুক্তি, এবং প্রধানমন্ত্রী-অভিবাদিত এই গ্র্যামি, ঠিক কোন ভারতের?
‘রামানন্দের ছবির আর এক চরিত্র হল আলো। ছবিতে অন্ধকার নেই। আলোয় ঝলমলে প্রেক্ষাপট অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। রাতের পটভূমিতে যে নীল ব্যবহার করেছেন, তা-ও বড় স্নিগ্ধ। আঁধারকে আলো দেখাচ্ছে যেন।’ দেবভাষায় রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্প প্রদর্শনী।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.