ডাকবাংলা

এক ডাকে গোটা বিশ্ব

 
 
  

"For those who want to rediscover the sweetness of Bengali writing, Daakbangla.com is a homecoming. The range of articles is diverse, spanning European football on the one end and classical music on the other! There is curated content from some of the stalwarts of Bangla literature, but there is also content from other languages as well."

DaakBangla logo designed by Jogen Chowdhury

Website designed by Pinaki De

Icon illustrated by Partha Dasgupta

Footer illustration by Rupak Neogy

Mobile apps: Rebin Infotech

Web development: Pixel Poetics


This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.

© and ® by Daak Bangla, 2020-2024

 
 

ডাকবাংলায় আপনাকে স্বাগত

 
 
  • ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী পণ্যময়


    শঙ্খদীপ ভট্টাচার্য (November 25, 2023)
     

    ‘অল্পেতে খুশি হবে/ দামোদর শেঠ কি।
    মুড়কির মোয়া চাই/ চাই ভাজা ভেটকি।’

    না, এখন অল্পেতে খুশি হওয়ার যুগ নয়। আজকের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার নব্য দামোদর শেঠরা কেবলমাত্র নিজেদের রসনা-বাসনাকে তৃপ্ত করতেই উন্মুখ এমনটা নয়, বরং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে   মানুষের সামনে তারা নিত্যনতুন খাবারের পসরা সাজিয়ে তুলছেন নিত্যনতুন কায়দায়। জিভ না ঠেকিয়েই কেবলমাত্র চটকদার অনলাইন উপস্থাপনার সম্মোহনে রেস্টুরেন্টের দিকে ছুটে যাচ্ছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।   

    খাদ্য মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলির মধ্যে এমন একটি, যাকে বাদ দিয়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন। পেটে চাই খাবার, নয়তো দিন চলে না কারণ একটি সুষম খাদ্যের রুটিন প্রত্যেক মানুষের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য অপরিহার্য। এই মুহূর্তে কিন্তু সারা পৃথিবী জুড়ে খাদ্যের উৎপাদন এবং পরিমাণ নেহাত কম নয়। এই বাস্তবতায় একদিকে যেমন বাহারি সব খাদ্যের প্রাচুর্যে বড় হওয়া নাদুসনুদুস ছেলেমেয়েদের হাসির সঙ্গে হাসি আমরা মেলাই; বিপরীতে ক্ষুধা, অপুষ্টিতে জেরবার হাড়গিলে পেটমোটা শিশুদের হাহাকারও আমাদের চোখে জল আনে। একদিকে অপরিসীম খাদ্যের সরবরাহ এবং অন্যদিকে ব্যাপক খাদ্যাভাবের মধ্যের দ্বন্দ্বের মূল কারণটিই হল, মানুষের এই মৌলিক চাহিদাটি পূরণের জন্য দরকারি খাবারটিও সস্তা মুনাফার জন্য আজ বিলাস-পণ্যের তালিকায়। ভাত, ডাল, রুটিও পণ্য, বাজার থেকে কিনতে হয় বলে; কিন্তু পণ্য হলেও সেগুলি শ্রমশক্তিকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় লিপিড, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ অত্যাবশ্যকীয়  খাবার। এই খাদ্যের সঙ্গে মাশরুম আর নিউবার্গ সস মেশানো চিকেন স্ট্রঙগফের ফারাক অনেক। ফারাক ততটাই যতটা প্রয়োজনীয়তা এবং বিলাসের মধ্যে।

    অনলাইন-অ্যাপ-শিক্ষা, সুপার-স্পেশালিটি হেলথ-প্যাকেজ, বলিউড-ঘেরা-ক্রিকেট, ক্রাইম-থ্রিলার-সাহিত্যর মতোই খাদ্যকে ঘিরে তুমুল বিজ্ঞাপনের রমরমা অনলাইন মাধ্যমগুলিতে। তবে এ জিনিস আজকের নয়, আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছিল উদারনৈতিক আবহাওয়ার বিশ্বায়নের সময় থেকেই। ক্যালোরিতে ঠাসা, কম পুষ্টিমূল্যের খাবার, যেমন চিনিতে ভরা প্রাতরাশের সিরিয়াল, শিশুদের মস্তিষ্ক এবং স্বাস্থ্য-বিকাশের নামে বাবা মায়েরা খুব বেশি চিন্তা না করেই মোটা টাকা দিয়ে বাজার থেকে কিনছেন। সেলিব্রেটির হিরোইজম সম্পৃক্ত বিজ্ঞাপনের সম্ভ্রান্ত আলোয় খাবারকে নিয়ে অতিরঞ্জনই আমাদের কাছে হয়ে ওঠে মনোরঞ্জক, বিশ্বাসযোগ্য। মধ্যবিত্তকে টার্গেট করা এই খাবারগুলি তুলনামূলকভাবে সস্তা কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফল এবং শাকসবজির মতো উচ্চমানের খাবারের সঙ্গে এইগুলির কোনও যোগ থাকে না। এবং এইসব খাবারের পণ্য-প্রকৃতিই বস্তুত মধ্য ও নিম্নবিত্তের মানুষদের স্বাস্থ্য বিকৃতির মূল কারণ।

    মানুষের ক্ষুধাকে তুরুপের তাস বানিয়ে অলিতে-গলিতে গজিয়ে ওঠা খুচরো থেকে ভারী ব্যবসা ভারতীয় প্রেক্ষাপটে আজকের এক অন্যতম বাস্তবতা। সারা ভারতেই রাস্তাঘাট জুড়ে হাজারো রেস্তোরাঁর ভিতর গালভরা নামের রকমারি আইটেম। খাবার এখন আর খিদে মেটাবার উপাদান নয়, খাবারকে ঘিরেও তৈরি হয়েছে রীতিমতো গবেষণা করা নন্দনতত্ত্ব।  খাবারের একটি পদকে, তা যৎসামান্য হলেও, কেবলমাত্র গুণে নয় রূপেও কীভাবে সাজিয়ে তোলা যায় তা নিয়ে চলে বিস্তর এক্সপেরিমেন্ট। ‘রূপে তোমায় ভোলাব না’ এই কথাটি নামিদামি রেস্টুরেন্টের এজেন্ডায় মোটা লাল দাগে ক্রস করা থাকে। নির্গুণ, অস্বাস্থ্যকর হলেও কেবলমাত্র দেখনদারির কারসাজিতে মানুষ খাবার মুখে তুলে নেওয়ার আগে স্মার্টফোনে সেই খাবারের ছবি তুলে রাখে আগামীর ফেসবুক পোস্টের রসদ হিসেবে। সেই পোস্ট কিন্তু বিনা পারিশ্রমিকে সেই খাবারগুলির বিজ্ঞাপন ছাড়া আর কিছুই নয়। চারদিক থেকে বিজ্ঞাপনের বিপুল ব্রডকাস্ট মানুষের সুপ্ত রসনা-বাসনাকে তিলে তিলে নির্মাণ করে। মানুষ ক্রমশ গুলিয়ে ফেলে কোন জিনিসটি, তা পণ্য হলেও, বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় আর কোনটা বিলাসব্যাঞ্জক।

    ক্ষুধার্তের  হাহাকার                              

                      
    ফুড ব্লগারের উল্লাস

    শারীরিক শ্রমই হোক বা গভীর ভাবনা নির্ভর সৃষ্টিমূলক কাজ, তা করার জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক এবং মানসিক স্থিরতা ও সুস্থতা রক্ষার পিছনে সঠিক খাবারের ভূমিকাকে স্বীকার করে নিতেই হয়। অন্যান্য সকল না-মানুষ প্রাণীদের মতোই ক্ষুন্নিবৃত্তির প্রয়োজনীয়তার এই অতি-স্বাভাবিক দিকটুকুকে ব্যবসার জন্য  ফুলিয়েছেন, ফাঁপিয়েছেন ইউটিউব-খ্যাত ফুড ব্লগাররা। তাদের অনর্গল বুলিতে গা ভাসিয়েছেন দেশের তামাম জনতা। তথ্য-প্রযুক্তিতে মোটা টাকা অর্জন করা ডিজিটাল শ্রমিকদের আজ অনেকেই টোয়েন্টি-ফোর ইনটু সেভেন ফুড ব্লগার। সফটওয়্যার বিজনেস মডেল থেকে মানুষকে বের করে প্ল্যাটফর্ম বিজনেস মডেলে মানুষের ক্ষুধা এবং খাদ্যকে সম্পূর্ণ নতুন কাঠামোতে পণ্যায়িত করে মুনাফা কামানোর মোক্ষম ফন্দি এঁটেছে ইউটিউব থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনলাইন ফুড-ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মগুলো।

    ফুড ব্লগার হিসেবে মোবাইল হাতে নিয়ে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ঘুরে, খাবার চেখে, খাবারের দাম, খাবারের গুণের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ, রেস্তোরাঁর পরিবেশ ইত্যাদি বিষয়গুলিকে ভ্লগাররা তাদের ভিউয়ার এবং সাবস্ক্রাইবারদের সামনে রাখেন। খাদ্যের এই আলোচনা-সমালোচনার ওপর ভিত্তি করে রেস্তোরাঁর মান এবং আগামীর বিক্রিবাটা অনেকটাই নির্ভর করে। ফুড ব্লগাররা মোটা টাকার বিনিময়ে তাদের নিজস্ব নেটওয়ার্কের সাহায্যে রেস্তোরাঁর খাবারের দেদার প্রশংসা করেন ইন্টারনেটে। সারাটা দিন ধরে এই কাজ করে তাদের আর্থিক অর্জনের পরিমাণ এমনই যে সহজেই তারা সরকারি চাকরির সুরক্ষা এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের আভিজাত্যকে উপেক্ষা করতে পারেন। দেখার মতো বিষয়টি হল, শোষণ এবং দুর্নীতিতে টইটম্বুর হওয়া সত্ত্বেও এই সকল চাকরিতে কমবেশি মানসিক চিন্তাভাবনার অবকাশ ছিল। ফুড ব্লগারদের কাজকর্মে তার লেশমাত্রও থাকল না। খাদ্যের গুণাগুণ বিচার করতে, ক্যামেরা হাতে অনর্গল কথা বলে অতিলৌকিক স্বাদ গুঁজে, সাতগুণ মহিমান্বিত করে, সেই খাদ্য-পণ্য যাতে মানুষ মোটা টাকার বিনিময়ে সাতপাঁচ না ভেবেই উদরসাৎ করে, তা বুঝিয়ে দিতে কথা বলার সামান্য দক্ষতা ছাড়া কতটুকুই বা বুদ্ধির দরকার হয়! চূড়ান্ত বিচ্ছিন্নতার মধ্যে থেকেও শ্রমিক, কর্মচারীদের মধ্যে যে ন্যূনতম মেলামেশা, পারস্পরিক আদান-প্রদানের পরিসরটুকু ছিল, তা-ও বিপর্যস্ত হল হাতে মোবাইল ক্যামেরা নিয়ে রেস্তোরাঁয় এবং নতুন খাবারের সন্ধানে একা-একা ঘুরে বেড়ানোর এই নতুন সংস্কৃতিতে।

    ডাল-ভাত-রুটি থেকে মঙ্গোলিয়ান মাশরুম চিকেন

    না-মানুষ প্রাণীরা ক্ষুন্নিবৃত্তির মাধ্যমে কেবলমাত্র নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই খাবারের বন্দোবস্ত করে। ক্ষুধার্ত কুকুরকে দেখা যায় খাবারের সন্ধানে এ পাড়া থেকে সে পাড়া মাটি শুঁকে বেড়াচ্ছে। এই অনুসন্ধান কিন্ত তার জৈবিক চাহিদা মেটাবার জন্যেই, টিকে থাকার তাগিদে। মানুষ কিন্ত কেবলমাত্র তার এই জৈবিক চাহিদা মেটাবার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, সৃষ্টি-শ্রমের মাধ্যমে, উৎপাদনের মাধ্যমে সে নিজের প্রজাতি-সত্তার চাহিদাকে পূর্ণ করে। কিন্ত ক্ষুধা বা যৌনতার মতো জৈবিক চাহিদার মধ্যে মানুষকে আটকে না রেখে সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে তার মানবিক সত্তার পূর্ণাঙ্গ বিকাশ যেহেতু বর্তমান সামাজিক ব্যবস্থার লক্ষ্য নয় তাই মানুষকে শুধুমাত্র এই পশুসর্বস্বতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হল না, নির্মম ব্যবসায়িক স্বার্থে তাকে মোহড়া করে খাদ্যকে ডিজিটাল মাধ্যমে পণ্যায়িত করে জিভে জল আনা লোভনীয় এক ফ্যান্টাস্টিক খাদ্য-সংস্কৃতি নির্মাণ করা হল। মানুষের সহজাত সৃষ্টিশীলতাকে নিত্যনতুন খাবার উদ্ভাবনের অভিমুখে চালান করে দেওয়া হল, ঠিক যেমন তার সৃষ্টিশীল দিকটিকে কৌশলে কাজে লাগানো হয় পর্ন-ইন্ডাস্ট্রিতে যৌনতাকে কেন্দ্র করে।  

    প্রকৃত কাজের অভাব, প্রকৃত সামাজিক আদান-প্রদানের অভাবে নাজেহাল যুবক-যুবতীদের অনেকেই আজ হোলটাইম ফুড ব্লগার। আবার ‘গড অফ ক্রিকেট’ সচিন তেন্ডুলকরের মতো ব্যক্তিত্বরা যদি এই ফুড ব্লগিং নামের নতুন কর্মসংস্থানটিকে, শিখিয়ে দেওয়া বুলি আওড়ে প্রমোট করেন তাহলে তো কথাই নেই। গড অফ ক্রিকেট হিসেবে তিনি নিজেই যে সেখানে পণ্য। যেহেতু তিনি এবং সেই পুঁজিবাদী সংস্থাটি ভাল করেই জানেন যে, ভারতের কোটি-কোটি মানুষ তাঁকে অন্ধের মতো অনুসরণ করে; তাই কোটি টাকার বিনিময়ে যদি তাঁর এই ইন্সটা-ইমেজকে কিনে নেওয়া যায় তাহলেই কেল্লাফতে। বিচ্ছিরি রকমের সম্পত্তির মালিক হওয়া সত্ত্বেও, আরও কিছু টাকার জন্য সচিনের মতো মানুষেরা নিজেদেরকে বিক্রি করার আগে ভেবেও দেখেন না তাঁদের কোটি-কোটি অনুসরণকারীদের লাভ-ক্ষতির পরিমাণটুকু, তাদের উপরে এসব বিজ্ঞাপনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব।  ফুড ব্লগার না হয়েও স্ক্রিপ্টেড অভিনয় করে দেখালেই তাঁর ভক্তরা যুক্তি-তর্ক-বুদ্ধি জলাঞ্জলি দিয়ে ফুড ব্লগার হয়ে ওঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বেন, সে ব্যাপারে সচিনের সচেতনতা কিন্ত টনটনে। ফুড ব্লগারদের নিয়ন্ত্রণ করা ইউটিউব-মালিকদের মনস্তত্ত্ব সম্ভবত তিনি হাড়ে-হাড়েই বোঝেন।   

    স্মার্টফোন, খাবার এবং গড অফ ক্রিকেট – পণ্যের ত্রিবেণী সঙ্গম

    এইভাবেই খাদ্য-পণ্যকে ঘিরে বিপুল সংখ্যার মানুষের উন্মাদ-উল্লাসে কিছু ভগবানসম সেলিব্রিটিদের গর্হিত অপরাধ ঢাকা পড়ে যায় ডিজিটাল রোমাঞ্চ-মঞ্চের কাঠামোর গভীরে। এ কথা শুনে সিংহভাগই চরম উত্তেজিত হয়ে বলতেই পারেন, বিজ্ঞাপনে দু-কথা বলায় আবার কী অপরাধ! যেহেতু সাধারণ মানুষের কাছে যেভাবেই হোক টাকা পয়সা কামিয়ে নেওয়ার বিভ্রমটাই এখন নির্মাণ করা বাস্তব, তাই অর্জন করার উপায়গুলির সাইড এফেক্ট-র মারাত্মক বাস্তবতা বিপরীতে বিভ্রম হয়ে দেখা দেয়। কিন্ত মুনাফার উদ্দেশ্যে মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্যকে প্রাকৃতিক  গণ্ডির বাইরে এনে, পণ্যের সঙ্গে জোর করে জুড়ে দিয়ে অস্বাভাবিক বিকাশ ঘটাতে চাইলে পরিণাম বিকৃত হওয়াটাই স্বাভাবিক।

    কলকাতার ফুড এন্ড বেভারেজ (এফ এন্ড বি) সেক্টর, যা উৎসবের মরসুমে দুরন্ত ব্যবসা করেছিল, দু’বছরের মহামারী-প্ররোচিত শিথিলতার পরে উৎসব-পরবর্তী হ্যাংওভারে মোটামুটি কাহিল।  জানা গিয়েছে, ফুড ব্লগারের নামে প্রতারকদের একটি ক্রমবর্ধমান গোষ্ঠী নাকি নেগেটিভ রিভিউ-এর মাধ্যমে রেস্তোরাঁগুলিকে টার্গেট করছে। পুঁজিবাদ যেহেতু সব কিছুকেই কোয়ান্টিফাই করে, তাই খাবারের গুণাগুণও নির্ভর করে ফুড ব্লগারদের দেওয়া রেটিং-এর ওপর। ওই সংখ্যাটিই হল মাপকাঠি। এইখানেই চলে টাকা-পয়সার দেদার লেনদেন। কেটলবেরি কফি ব্রেক-র মালিক দীপ বাত্রা বলছেন,

    Many so-called food bloggers base their reviews on compensation received from restaurants. Any establishment that doesn’t pay up is bombarded with negative reviews. It’s very disheartening for the team. (১)

    মারবেলাস অ্যান্ড পোচ রেস্তোরাঁর মালিক নিখিল চাওলার গলায় একই সুর,

    It has become a scam now. They demand money, gifts, free food or free food gift vouchers. It’s difficult to tell who’s a real blogger and who’s a fraudster because these people have fake followers. Action should be taken to curb this malicious trend.(২)

    মোদ্দা কথা, খাদ্য হোক বা ক্রিকেট, ধর্ম হোক বা জিরাফ, বর্তমান সামাজিক সম্পর্কে সবকিছুই এখন বিক্রির মাল। চোখ-কান খোলা রাখার সঙ্গে ন্যূনতম যুক্তি-বুদ্ধির চর্চা, কাণ্ডজ্ঞানের সঙ্গে আপস না করে বিশ্লেষণের ক্ষমতাটুকু টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের যোগাযোগ বুঝে নেওয়ার জন্য খুব বেশি কাঠখড় পোড়াতে হয় না। চমৎকারের মোড়কে আবর্জনা গিলিয়ে দেওয়ার  আবহাওয়ায় এখন সংক্রামক। তাই গ্রহণ ও বর্জনের খেলাটুকু ধরতে না পারলে সাংস্কৃতিক বদহজমে আমাদের অস্বস্তি বাড়বে বই কমবে না।

    তথ্যসূত্র :

    (১) https://m-timesofindia-com.cdn.ampproject.org/v/s/m.timesofindia.com/city/kolkata/kolkata-eateries-turn-hunting-grounds-for-food-blogger-syndicates/amp_articleshow/96847258.cms

    (২) https://m-timesofindia-com.cdn.ampproject.org/v/s/m.timesofindia.com/city/kolkata/kolkata-eateries-turn-hunting-grounds-for-food-blogger-syndicates/amp_articleshow/96847258.cms

     
      পূর্ববর্তী লেখা পরবর্তী লেখা  
     

     

     




 

 

Rate us on Google Rate us on FaceBook