২০২২ সালে আমরা ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরে পা রাখলাম। কিন্তু যে আশার আলোয়, যে প্রতিশ্রুতির ঘনঘটায় ভারত ‘স্বাধীন’ হয়েছিল সে-বছর, তার কতটুকু অবশিষ্ট আছে আজ? এই দেশের মধ্যে যারা বসবাস করছি এই সময়ে, তারা আদৌ স্বাধীন তো? এই প্রশ্নগুলোকে কেন্দ্র করেই পেন আমেরিকা জানতে চেয়েছিল, বিভিন্ন লেখকের বক্তব্য। ‘স্বাধীন’ বা ‘স্বাধীনতা’ শব্দগুলো নিয়ে তাঁরা কী ভাবছেন আজকের দিনে, তাঁরা তা জানিয়েছেন। সেই শতাধিক লেখকের শতাধিক ভাবনার কথাগুলোই এবার থেকে বাংলা অনুবাদে প্রকাশ পাবে ডাকবাংলা.কম-এ।
রোমিলা থাপার (ইতিহাসবিদ, অধ্যাপক)
১৫ আগস্ট ২০২২
স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই ভারতকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে সংজ্ঞায়িত করার বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছিল, যে দেশে সব ভারতীয়ই একই পরিচয়ে পরিচিত হবে। স্বাধীনতার পরে আমরা আর ঔপনিবেশিক প্রজা ছিলাম না, হয়ে উঠেছিলাম স্বাধীন নাগরিক। এবং নাগরিকত্ব ও সাংবিধানিক অধিকার বিষয়ে দাবি তুলতে সক্ষম। যারা ভারতে বাস করে, তারা সকলেই ভারতীয়— এই পরিচয়ে আমরা বিশ্বাস করেছি, তা সে যে ধর্ম, ভাষা, জাতি বা প্রদেশেরই হই না কেন। আমরা সকলেই ন্যায়সঙ্গতভাবে সমানাধিকারের দাবি করতে পেরেছিলাম। ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক একটি জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য, আমাদের আকাঙ্ক্ষা। এর জন্য অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি। যদিও আমাদের অধ্যবসায়ে কিছু খামতি ছিল। হয়তো সেই খামতিই আজকের পরিস্থিতির কারণ। ৭৫টা বছর পর, আজও নাগরিক অধিকার এবং পরিচয়ের ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়নি এই দেশে। ক্ষমতাসীন কিছু লোক ভারতের এই ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক পরিচয়ের পরিপন্থী। যার ফলে, দারিদ্র ও বেকারত্বের সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে, কিন্তু তা নিয়ে চিন্তা নেই রাষ্ট্রযন্ত্রের। জাতীয়তাবাদের জায়গায় ঢুকে পড়েছে ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার রাজনীতি, বাকস্বাধীনতার অধিকার ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে, মুছে যাচ্ছে নাগরিক অধিকার, নাগরিক হিসেবে যে-নিরাপত্তা প্রাপ্য তা-ও উবে গেছে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেপথ্যে যে-স্বপ্নগুলো ছিল, সেগুলো এই পরিস্থিতিতে পূরণ করব কী করে? এই প্রশ্ন আমাদের নিজেদেরই করা উচিত।
সলিল ত্রিপাঠী (লেখক)
তাহলে, আমরা শিখলাম :
বদ্ধ একটা হৃদয় ভয়ে পূর্ণ থাকে।
মাথা নীচু রাখাই হল বিচক্ষণতার কাজ।
আমাদের ইতিহাস বই আসলে পুরাণ।
আমাদের পুরাণের বইয়ে কিংবদন্তিগুলো সব সত্যি।
আমাদের সীমান্তের প্রাচীরগুলো আরও উঁচু করতে হবে,
যাতে যেসব আলো আমাদের আলোকিত করে, তারা পৌঁছতে না পারে।
আর এমন শক্ত করে বন্ধ রাখতে হবে জানলাগুলো, যেন
কোনওভাবেই ভিনদেশি হাওয়া এসে আমাদের মাথাটা না খেয়ে ফেলতে পারে।
আমাদের সংকীর্ণ সত্তার মধ্যেই গুঁজড়ে থাকলে আমরা আরও পবিত্র হয়ে উঠি।
এবং কোনও কথা একবার গিলে ফেললে, তার কোনও অস্তিত্বই থাকে না।
আমরা তা-ই বলি, যার অনুমতি আছে
আর ফরমায়েশ-মতো পুনরাবৃত্তি করি।
আমাদের ক্লান্ত হাত বেশিদূর প্রসারিত হয় না
আমাদের যুক্তির স্রোত শুকিয়ে গিয়েছে
কারণ আমরা সেসবই ভাবি, যা আমাদের ভাবতে অনুমতি দেওয়া হয়।
কিন্তু আমরা দুশ্চিন্তা করি না, আমরা তোফা আছি।
আমরা কাজ করি বেশি, কথা বলি কম।
আর, শৃঙ্খলাই তো একটা দেশকে মহান করে তুলতে পারে।
আমরা ‘মধ্যরাতের নাতি-নাতনি’, চুপ থাকার দেশে বাস করি
আমরা কোনও আলোকসন্ধান জানি না
কোনও প্রয়োজন নেই আমাদের জেগে ওঠার।
আমার মায়ের ভুল
তুমি আরও কিছু সাত বছর বয়সি মেয়েদের সঙ্গে মিছিলে পা মেলালে
গুজরাতের গ্রামে স্বাধীনতার গান গাইলে ভোরের বেলায়,
ভেবেছিলে তাতে ব্রিটিশরা খুব লজ্জা পাবে এবং
ভারতে ছেড়ে চলে যাবে।
আরও পাঁচ বছর পর, তারা গেল বটে।
মকবুল ফিদা হুসেনের আঁকা হিন্দু দেবীদের নগ্ন স্কেচ দেখে
তুমি মুচকি হাসলে,
কিন্তু হো-হো করে হেসে উঠলে,
যখন তোমাকে জানালাম, এর জন্য
কিছু মানুষ ছবিগুলোকে পুড়িয়ে দিতে উঠেপড়ে লেগেছিল।
‘এরা কেউ আদৌ আমাদের প্রাচীন ভাস্কর্যগুলো দেখেছে এই দেবদেবীর?
সেগুলো তো আরও দুষ্টু।’ তুমি বলেছিলে।
তোমার গলা ভেঙে গেছিল
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর
সিঙ্গাপুরে আমাকে অফিসে ফোন করলে তুমি,
ওরা তখন বাবরি মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে।
তুমি বলেছিলে– আমরা আবার গান্ধীজিকে হত্যা করলাম।
সত্যি তাই।
২০০২-এর ফেব্রুয়ারিতে গোধরায় জ্বালিয়ে দেওয়া হল ট্রেনের কামরা
হত্যা হল ৫৮ হিন্দুর,
তারপর হিন্দু দঙ্গল মুসলিমদের ঘরে ঘরে হানা গিতে লাগল খুন করার জন্যে
টিভির দিকে তাকিয়ে থেকে, তুমি বলেছিলে, ‘এমনটা কেউ কখনও করতে পারে?’
তুমি প্রতিবার ঠিক কথাই বলেছ, প্রত্যেকটা বার।
বছরের পর বছর আমি যা লিখে গেলাম, সেসব পড়ার পর,
আমার কিছু বন্ধুর অভিযোগ : আমি আসলে ঠিক করে কিছুই বুঝতে পারি না।
আমি তো বিদেশে থাকি : কী বুঝি আমি ভারতের?
কিন্তু আমি তোমাকে চিনতাম, সেটাই যথেষ্ট। এটাই অনেক।
কারণ সে-জন্যেই আমি এরকম হয়েছি।
সৈকত মজুমদার (লেখক, অধ্যাপক)
বুড়ির মুখে বড্ড কথার ফুলকি। কী যে ভাবতে থাকে, মাঝেমাঝে নিজেও ভুলে যায়। হাঁটুর নীচে বাতের ব্যথায় হঠাৎ-হঠাৎ ককিয়ে ওঠে। তার মধ্যে তার পড়শিদের সারাক্ষণ খিটিরমিটির। বুড়ির আঁচলেও ফুটো, টাকা পয়সা গলে পড়ে যায় প্রায়শই। হতভাগ্য বুড়ির বেয়াড়া সব ছেলেপুলে। সারাক্ষণ মারামারি লেগে আছে, আর ঝগড়া। বাপবাপান্ত করছে একে-অপরের। সারাক্ষণ মুখে, হাঁটুতে মারামারির দাগ। শান্তি নেই।
আর বুড়ি ওদিকে সুপুরিতে কামড় দিয়ে রস চুষতে-চুষতে হঠাৎ-হঠাৎ থমকে যায়। আবার হুট করে কী আগডুমবাগডুম বিড়বিড় করে ওঠে। তার জিভ হল, যাকে বলে কথার কুম্ভমেলা। ঝিমঝিম করে সুর ভাঁজছে কখনও, তো পরমুহূর্তেই উচ্চৈস্বরে ক্যাটক্যাট কথা, কখনও এভাবে কথা বলছে তো কখনও ওভাবে। এই বুঝি সে মজার মজার প্রবাদ বলছে, তো পরমুহূর্তে গালাগালির ফুলঝুরি, আবার থেমে গিয়ে মুখে তার ভালবাসার আছাড়িপিছাড়ি। বুড়ি তারপর হঠাৎ করে খিঁচিয়ে উঠতেও পারে, বলা যায় না। আবার তারপরই দেখা গেল কাঁদছে। আবার কখন যে ঘুমের ঘোরে নাক ডেকে উঠবে, কেউ বলতে পারে না। ধন্যি আমাদের বুড়ি। হয়ে গেল ৭৫ বছর বয়স তার। রোদে পুড়ে চামড়া খানিক কুঁচকে গিয়েছে তার। গুড়াকু মেজে-মেজে দাঁতে খয়েরি ছোপ, মাথা খানিক ফাঁকা-ফাঁকা, চুল পড়েছে ভালই। আর তার সেই কাঁপতে থাকা মাড়ি।
কিন্তু এরপরেই সে হয়ে যাবে দরজার খিল, হয়ে যাবে চিতায় ছাই না হওয়া নাভিকুণ্ড, নদীর স্রোতে ছিটকে গিয়ে পড়বে না-পোড়া নাভিকুণ্ড। তার বিড়বিড়ানি সাঙ্গ। সে এখন দেওয়ালে টাঙানো এক নিতান্ত ছবি। সেই ছবির ফ্রেমের দিকে যেন অনন্তকাল চেয়ে বসে আছে মাংস রঙের একটা জ্যান্ত টিকটিকি।
সবিতা সাচি (কবি, সমালোচক)
স্বাধীনতার ঘুড়ি
মাথার ওপর ঘুড়ি উড়ছে দ্যাখো বাবা,
নিয়ন্ত্রণ সামলে রেখে, যেমনটা কেবলমাত্র তারাই পারে,
বাঁধা, তবু সীমানা পেরিয়ে কত দূর ভাসমান
আবার একে-অপরের সঙ্গে জড়িয়েও গিয়েছে অনন্তকালের জন্য।
আর আমরাও তাই যেভাবেই হোক না কেন, গাইব স্বাধীনতার গান
হোক না আমাদের খারাপ গলা, না হয় ভুলে গাইলাম গানের লাইন,
না হয় বেসুরো হলাম খানিক।
ঠাম্মাকে মনে পড়ে খুব,
হাতে তার সেই উলবোনার সাদা কাঁটা, চোখে তার ভাঙা চশমা।
স্বাধীনতা দিবসের দিন ভারতজুড়ে, বিশেষ করে দিল্লিতে তো বটেই, ঘুড়ি ওড়ানোটা প্রায় রেওয়াজ। গুজরাতেও এটা চলে। ভাবি, এই সেই গুজরাত, যা একইসঙ্গে যেমন মহাত্মা গান্ধীর জন্মস্থান, যিনি কিনা সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা করে গিয়েছিলেন একরোখাভাবে। আবার যিনি কিনা ভারতীয় জনতা পার্টির হিন্দুত্ববাদী দলের নেতা, সেই নরেন্দ্র মোদীরও নিজের জায়গা। এই গুজরাতে, প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে বেশ শোরগোল করে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা হয়। এই প্রতিযোগিতা যেমন আনন্দের, তেমনই কোথাও যেন খুন্নসভরা। ঘুড়ি যদি নিজের এলাকা পেরিয়ে অন্য পারের ঘুড়ির কাছাকাছি গেছে, ব্যস। কাটাকাটি খেলা শুরু হবেই পড়শি ঘুড়ির সঙ্গে। আর আজকের ভারতেও ঠিক সেটাই হচ্ছে। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি পেরিয়ে স্বাধীন ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন ও অন্ধকারতম অধ্যায়ে দাঁড়িয়ে আছি সম্ভবত। সংখ্যালঘুদের প্রতি সহিংসতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষত মুসলিমদের প্রতি। রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরোধিতা করলে, তার কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। কারাবন্দি করা হচ্ছে। মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে যাঁরা সবচেয়ে সোচ্চার, তাঁদের প্রতি অনাচার অত্যাচার চলছে তীব্রভাবে।
আবার একইসঙ্গে, এই তুমুল বিভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধও গড়ে উঠছে নাগরিক সমাজে। আর, ভুলে গেলে চলবে না, হাওয়ার গোত্তা খেয়ে হাওয়ার সঙ্গে সংগ্রাম করতে করতেই ঘুড়ি একটা সময় উড়তে শুরু করে, সদর্পে ভেসে বেড়ায়।
সঙ্গমেশ মেনাসিনাকাই (লেখক)
দেশটাকে হারিয়ে ফেলছি!
সম্প্রতি একটা ব্লাড ব্যাঙ্কে আমি রক্তদান করতে গিয়েছিলাম।
তা এক মুসলিম ভদ্রলোক হঠাৎ হন্তদন্ত হয়ে সেখানে এসে তার অসুস্থ বাবার জন্য রক্তের খোঁজ করতে লাগল। ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মচারী মুখের ওপর বলে দিলেন, কোনও রক্তদাতা নিয়ে আসুন, নয়তো রক্ত মিলবে না। ব্যাপারটা গুরুতর বুঝে, আমি নিজে থেকে সেই মুসলিম ভদ্রলোকের রক্তদাতার দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত নিলাম।
পরে, কথায় কথায় তাঁর কাছ থেকে এই অস্থিরতার কারণ জানতে পারলাম। বিশ্বাস করবেন? তাঁর পরিচয় তিনি মুসলিম, তাই প্রথমে যে ব্লাড ব্যাঙ্কে তিনি গিয়েছিলেন, সেখানে তাঁকে রক্ত দেওয়া হয়নি। ফোনে যখন খোঁজ নিয়েছিলেন, তখন সেখানকার কর্মচারী বলেছিল, রক্ত মজুত আছে। কিন্তু যেই না সেখানে পৌঁছলেন, মুখের ওপর তাঁকে প্রত্যাখ্যান করা হল তো বটেই, উল্টে বলা হল, সেই রক্ত অন্য কারও জন্য তুলে রাখা আছে। সেই নির্দিষ্ট গ্রুপের রক্তের জন্য ভদ্রলোক রীতিমতো অনুনয় করেছিলেন হাত জোড় করে। আর তখনই সেই ব্লাড ব্যাঙ্কের অন্য একজন কর্মচারী এসে তাঁর কানে কানে বলেন, তুমি তো ভাই মুসলিম, তাই তোমাকে রক্ত দেবে না এরা। আমাদের বলা আছে, আগে হিন্দুকে রক্ত দিতে হবে। তাই বলছি ভাই, বেকার এখানে সময় নষ্ট কোরো না। অন্য কোনও ব্যাঙ্কে দৌড় মারো, ভাগ্যে থাকলে ঠিক পেয়ে যাবে রক্ত।
এই কথা শুনতে শুনতে দেখলাম, তাঁর চোখ ফেটে তখন জল গড়াচ্ছে। আর আমারও বুকটা যে কী ভারী হয়ে গেল।
কোভিড-১৯ অতিমারীর দ্বিতীয় তরঙ্গের সময়ে অনুরূপ একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। আমার এক হিন্দু বন্ধু তার মুসলিম বন্ধুর অসুস্থ মা-কে রক্ত দেওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করছিল। একটা ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারিকের সঙ্গে সেই হিন্দু বন্ধুর ভাল যোগাযোগ ছিল, তো সেই কারণে তাঁকেই সবার আগে জিজ্ঞেস করল আমার বন্ধু। সে যখন রোগীর নাম জানিয়েছিল সেই আধিকারিককে, তাঁর তৎক্ষণাৎ উত্তর ছিল– হিন্দুর জন্য রক্তের দরকার হলে বলবেন, ব্যবস্থা করে দেব। মুসলিমদের জন্য পারব না।
আমার বন্ধু খুবই আহত হয়ে আমাকে বলেছিল– মনে হচ্ছিল যেন আমার এই দেশটাকে আমি হারিয়ে ফেলছি।
গত কয়েক বছর ধরে আমারও এই অনুভূতিটাই হচ্ছে।
সৌজন্যে : https://pen.org/india-at-75/