সংখ্যা ৯৫: অগ্রহায়ণ ১৪২৯/৯ ডিসেম্বর ২০২২

অনুপম রায়

বিশ্বকাপের ডায়েরি: পর্ব ২

আমাদের পিছনে কিছু ইংলিশ ফ্যানেরা বসে ছিল। বিশাল তাদের গলার জোর, এমন জোর চিৎকার করছে যে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যাওয়ার জোগাড়! অমন গলা পেলে আমি সত্যিই মাইক ছাড়া গাইতে পারতাম। তার ওপর যা গালাগালি করল ফ্রান্সের গোলকিপারকে!

অনুপম রায়

বিশ্বকাপের ডায়েরি: পর্ব ১

খেলা দেখতে আসা দর্শকের এ রকম উন্মাদনা আগে সত্যি দেখিনি। আর এই উন্মাদনার একটা কারেন্ট যেন সবার মধ্যে ছড়িয়ে যায়। নিজের উত্তেজনা সব সময় নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। চারদিকে দেখলে মনে হয় একটা বিশাল উন্মাদনার যজ্ঞে আমিও একজন কনট্রিবিউটার।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২২

‘তখনও সে মৃত নয়, তার নামে চিঠি যদি আসে/ কোথাও আড্ডায় যদি নাম ওঠে, তাহলে জীবিত।/ সকলের কথা জমে পৃথিবীর কোনও শেষ মাসে/ সময় পিওনমাত্র, যে পুরনো চিঠি এনে দিত।’ নতুন কবিতা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৩৭

‘বলা হচ্ছে, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কোচ সাহস দেখানোর পর থেকেই অনেকে বুঝেছিলেন, এই লোকটাকে নামালে বরং আধুনিক খেলার ছন্দ নষ্ট হচ্ছে। হতে পারে। কিন্তু এগুলো আসল সংকট নয়।’ রোনাল্ডো-জল্পনা।

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৯০

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

দেবজিৎ চক্রবর্তী

ভাসান

‘মারাকানায় ঐতিহাসিক ফাইনালে জার্মানির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। ক্যামেরা তাক করল পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চির আর্জেন্টিনার দশ নম্বর জার্সিধারী মানুষটাকে। তার চোখে জল! মেসি কাঁদছে, মেসি ও কাঁদে! চারটে ব্যালন ডি’অর, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়… দেশ ফাইনালে যাচ্ছে বলে কাঁদছে, কী বোকা!’

কাউন্টার-স্ট্রাইকিং মিষ্টি চ্যাম্পিয়ন

‘গোলগাল, মিষ্টি চেহারার পারহামকে এক নজরে দেখে বোঝার জো নেই যে তিনি ইরানের ১ নং পুরুষ দাবা খেলোয়াড়, যিনি ২০১৮-তে দাবা দুনিয়াকে চমকে দিয়ে, ১০-এ ৯.৫ স্কোর নিয়ে জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতেছিলেন।’

অনিকেত সুর

কয়েকটি কবিতা

‘তবু তোমাকে না ভোলার প্রত্যয়/ আমার জীবনজুড়ে থাক/ আমার তাবৎ কষ্টগানে/ আমার ছায়া কুড়াবার ঘোরে/ ক্লান্তিহীন নিরুপদ্রুত কোনও ঘুমের ভেতর…’ নতুন কবিতা।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ : পর্ব ১৮

‘হলের মাঝখানে কিছু ধাতুর ভাস্কর্য। দেওয়ালে বড়-বড় ছবির ক্যানভাস। ফুটকির মতো এক-আধজন দর্শক। প্রথম ছবিটার সামনে দাঁড়িয়ে মন ভাল হয়ে গেল। আর্ট-কে আমি ভয় পাই। সে সম্মোহিত করে। ডেকে আনে। তারপর দরজা থেকে ফিরিয়ে দেয়।’

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

ইউক্রেনের বাজিমাত

দেশে যুদ্ধ, বিদেশে ঠাঁই এখন। বাবা-মা-পরিজনহীন জায়গায় মানিয়ে নিতে হচ্ছে। কিন্তু খেতাব জিতছেন দেশের জন্য। দুই বোন, দুজনেই গ্র্যান্ডমাস্টার। ইউক্রেনের মেয়েরা চালে-চালে কিস্তিমাত করছেন। কলকাতার টাটা স্টিল তেল ইন্ডিয়া ২০২২-এও তার ব্যতিক্রম হল না। সেই মঞ্চেও উজ্জ্বল আনা ও মারিয়া।

প্রত্যয় নাথ

‘মূর্তি’মান ইতিহাস

একটি সমাজ বা রাষ্ট্র যখন মূর্তি বা স্থাপত্য খাড়া করে, তার গোড়ায় থাকে সেই এলাকার সামাজিক পরিসরের সঙ্গে নিজের সত্তাকে জড়িয়ে ফেলার তাগিদ। অথচ সেই মূর্তি ভেঙে ফেলার মধ্যে থাকে সমস্ত সত্তাকে, বিশ্বাসকে ও প্রত্যয়কে ভাঙার নির্মমতা।

অরুণ কর

একটা আদর্শের মৃত্যু

একজন মানুষের আদর্শের মৃত্যু হলে কি মানুষটি আর বেঁচে থাকে? বেঁচে থাকলেও, সে বাঁচা কেমন বাঁচা? তার সঙ্গে যারা ছিল, তারাও কি বেঁচে থাকে তখন, একই রকম সত্তা নিয়ে? না কি তারাও মরে গিয়ে অন্য মানুষ হয়ে যায়? আদর্শ অতি বিষম বস্তু। নতুন গল্প।