সংখ্যা ৬৬: জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯/ মে ২০ ২০২২

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৬

রাজীব গান্ধী হত্যার চক্রান্তে দোষী সাব্যস্ত একজনকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল। কেউ বলছে, এত বড় টেররিস্টকে ছেড়ে দিলে জঘন্য উদাহরণ প্রতিষ্ঠিত হবে। কেউ বলছে, লোকটা ৩১ বছর জেল খেটেছে, তার ১৯ থেকে ৫০ বছর বয়স অবধি জেলেই কাটল, এখনও কি যথেষ্ট শাস্তি হয়নি? আমরা ভাবনা ও আলোচনায় ক্ষমাকে কেন প্রায় কখনও অগ্রাধিকার দিই না, প্রতিশোধপরায়ণতাকেই দিই?

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ১৫

‘কলকাতায় রেস্টোর‍্যান্ট-পদবাচ্য বাঙালি খাবারের দোকানগুলির সূত্রপাত হয়েছিল এই পাইস হোটেলের ঘরানাকে খানিক ‘আপগ্রেড’ করে নিয়েই। বহুদিন পর্যন্ত এই ওই অনাড়ম্বর কিন্তু অসামান্য হোটেলগুলি বা ঘরোয়া হেঁসেলের চৌহদ্দির বাইরে বাঙালি রান্নার স্বাদ নেওয়া ছিল অসম্ভব, যদিও মোগলাই বা চিনে রান্নার স্বাদ নেওয়ার জন্য রেস্টোর‍্যান্টে ছুটতে বাঙালি কসুর করেনি। সেই শূন্যস্থান প্রথম পূর্ণ হতে শুরু করল ১৯৬৯ সালে, যখন তালতলার এলিয়ট রোডে প্রতিষ্ঠিত হল ‘সুরুচি।’

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১৫

সকাল থেকেই মেঘ করে আসত যেসব দিন, সেসব দিনে স্কুলের চেহারাটাই পাল্টে যেত। বারান্দা আর করিডোরগুলোয় অল্প ঠান্ডা হাওয়া আর মেঘ-লাগা-সবুজের ক্লোরোফিল-আলো। স্কুলের দরজা দিয়ে ঢোকামাত্র একখানা বড় চত্বর ছিল, যেখানে বিশাল এক জলের ট্যাঙ্ক থাকত। আমরা সেখান থেকে জল খেতাম, হাতমুখও ধুতাম। তার উপরটা ছিল খোলা আকাশ। আর তার গায়ে গাছের ডালে বসে থাকা হরেকরকম পাখি আঁকা ছিল।

মৃদুল দাশগুপ্ত

এলাহি ভরসা

‘মালবিকা জানেন, শুধু দাড়ির জন‍্য নয়, হট্টগোলে আঁতকে উঠে সুবিমল ওই বিকট ‘এলা এলা এল্লা’ হাঁক দিয়েছিলেন বলেই সিলামপুরের রাস্তায় পানের দোকানি তার কাঁচি বিঁধিয়ে হুঙ্কার দিয়েছিল ‘জয় শ্রীরাম!’, ছুটে এসে বিল্টু সামলেছিল, ‘মেরা আঙ্কেল ব্রামহিন হ‍্যায়, মেরা আঙ্কেল ব্রামহিন…।’’ নতুন গল্প।

স্মৃতির কথকতা

‘স্বপনের ছোটবেলা কেটেছে বনগাঁতে, বহুদিন অবধি মাটির বাড়িতে। সেই মাটি পুড়িয়ে শক্ত ইটের বাড়িও এসেছে সময়ের নিয়ম ধরে। সেই সোঁদা মাঠ-ঘাট, গাছ-পাতালির মিতালি আজও আছে। মাঝবয়সের স্বপন এখন ঘর বেঁধেছেন আর এক গাঁয়ে। বীরভূমে। ফিরে পেয়েছেন ছেলেবেলার সেট। চলচ্চিত্র নির্মাণে বাধা থাকেনি। সেটি রয়ে গেছে মনের ভিতরে। দরকার পড়েনি অভিনেতার। স্মৃতির কথকতায় ছবিটা সাইলেন্ট হয়েও হয়নি।’

মোশাররফ আলি ফারুকি

দারাজগোশ জিন: পর্ব ২

২০১০ সালে প্রকাশিত ‘জিন দারাজগোশ’ হল ফারুকির কিসসা বা কল্পকাহিনি। যে গল্পে একটি ভাল মনের, অন্যের ভাল করতে চাওয়া জিন, অসাবধানতাবশত নিজেকে সমস্যায় ফেলে। একটি জিনের কৌতূহলের দুর্ভাগ্যজনক পরিণাম এবং তার ফলে সমগ্র জিন্‌ জাতির স্বর্গ থেকে বহিষ্কার: এক উপকথা।
অনুবাদ করেছেন যশোধরা চক্রবর্তী। আজ শেষ পর্ব।

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৬৩

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।